বাংলা ওয়েব সাইটে কীভাবে SEO করবেন?


 এস ই ও কোন সাধারন বিষয় নয়। এস ই ও কিভাবে করব এর উত্তর পাওয়ার আগে আপনাকে জানতে হবে আসলে এস ই ও কি?

এস ই ও হলো সার্চ ইঞ্জিনের সাথে কোন একটা সম্পর্ক। অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিনের (গুগলের) নিয়ম মেনে কোন আর্টিকেলকে গুগলের প্রথম পেজে নিয়ে আসাই আসলে SEO- র কাজ। এস ই ও এর ফুল মিনিং হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

অর্থাৎ আপনাকে অপটিমাইজ জানতে হবে। এটা দুই ভাবে বিভক্ত, অন পেজ এস ই ও এবং অফ পেজ এস ই ও। অন পেজ হলো, গুগল যে ধরনের আর্টিকেল পছন্দ করে তেমন করে লেখা আর অপ পজ হলো, অন্য কোন ওয়েব সাইটের সাথে আপনার সাইটকে সংযুক্ত বা ব্যাকলিংক করা।

যে কোনো ব্যক্তি কোনো তথ্য খোঁজ করলে যাতে সবচেয়ে সঠিক তথ্য খুঁজে পেতে পারে, সেজন্য সার্চ ইঞ্জিনগুলো কিছু প্রোগ্রাম তৈরি করে রেখেছে। যে প্রোগ্রামগুলোর কাজ হচ্ছে- সংশ্লিষ্ট সাইটগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় পর্যালোচনা করে সঠিক সাইটগুলোকে সামনে নিয়ে আসা। সার্চ ইঞ্জিন প্রোগ্রামগুলো এই পর্যালোচনা অনেকগুলো বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সম্পাদন করে থাকে।

যেমন ওয়েবসাইটের কনটেন্ট, ইউনিক ও প্রাসঙ্গিক তথ্য, সাইটের স্ট্রাকচার, ডিজাইন ইত্যাদি। সহজ কথায় এসইও মানে সার্চ ইঞ্জিনগুলো যে মানদন্ডের উপর ভিত্তি সাইটগুলোর র‌্যাংকিং করে এবং ফলাফল প্রকাশ করে, সেই বিষয়গুলো মেনে সুনির্দিষ্টভাবে সাইট অপটিমাইজ করা। সফলভাবে একটি সাইট এসইও করলে নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডে সাইটটি উপরের দিকে আসবে। অর্থাৎ কোনো ওয়েব সাইটকে সার্চ রেজাল্টের উপরের দিকে নিয়ে আসার জন্য যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়, সেটিকে এসইও বলে।

যখন একটি ওয়েবসাইট সার্চ রেজাল্টের উপরের দিকে থাকবে তখন ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি পায়। ফলে ইনকামও বৃদ্ধি পায়। ধরুন, একজন ব্যক্তি গুগল সার্চে কিছু একটা লিখে সার্চ করল এবং ফলাফলে গুগল সার্চ লক্ষাধিক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ফলাফল দেখালো। কিন্তু এক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি প্রথমদিকে যে প্রতিষ্ঠানের নামগুলো পাবেন সে সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই একটিকে বেছে নেবেন। ফলে আপনি সার্চ করলে যে প্রতিষ্ঠান সবার উপরে আসছে সেই প্রতিষ্ঠানই বেশি ভিজিটর পাবে এবং আয়ও বেশি করবে।

অন পেজ এসইও অপটিমাইজেশন কি ?
আজকের এই প্রতিযোগিতার যুগে blogging এর profession এ ক্যারিয়ার তৈরি করাটা অনেক বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আজ, ইন্টারনেটে যেকোনো বিষয়, টপিক বা niche নিয়ে হাজার হাজার তথ্য বা ভালো ভালো কনটেন্ট (content) সহজেই লোকেরা পেয়ে যাচ্ছেন।

এই ক্ষেত্রে, আপনি যদি search engine optimization এর ব্যাপারটা নিয়ে সতর্ক না থাকেন, তাহলে গুগল সার্চ থেকে যথেষ্ট traffic বা visitors পাওয়াটা আপনার জন্য অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

কেবল, ভালো ভালো ইউনিক (unique) কনটেন্ট লিখে এবং সঠিক এস ই ও অপটিমাইজেশন টেকনিক গুলির ব্যবহার করেই, গুগল সার্চ থেকে ট্রাফিক পেতে পারবেন।

মনে রাখবেন, অন পেজ এসইও টেকনিক গুলি যতটা ভালো ভাবে এপ্লাই (apply) করবেন, search engine থেকে ততটাই ভালো ভাবে visitors এবং traffic পাওয়ার সুযোগ আপনার ব্লগের হয়ে দাঁড়াবে।

অন পেজ এসইও র কাজ এটাই যে, বিভিন্ন মাধম্যে আপনার ব্লগ এবং ব্লগের কনটেন্ট গুলিকে সার্চ ইঞ্জিন (Google search) গুলির জন্য অপ্টিমাইজ করা।

এই ক্ষেত্রে করা প্রত্যেক অপটিমাইজেশন টেকনিক গুলি কেবল ব্লগের ভেতরেই সীমিত থাকে।

মানে, নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মধ্যে সীমিত থেকে যেগুলি seo techniques ব্যবহার করা যেতে পারে, সেগুলিকে বলা হয় “On page SEO techniques“.

এতে, সার্চ ইঞ্জিন গুলি, আপনার ব্লগের বিষয়, কনটেন্ট এবং তথ্য গুলিকে ভালো করে বুঝতে পারে।

প্রায় ৫ বছর আগে, অন পেজ এসইও বা খালি এসইও বললে আমরা কেবল “ব্লগের আর্টিকেলে কীওয়ার্ড এর প্রচুর ব্যবহার” করাটাই ভাবতাম।

তবে, ব্লগের আর্টিকেলে কীওয়ার্ড এর সীমাহীন ব্যবহার করেই আমরা গুগল সার্চ কে সহজে সিগন্যাল (signal) দিয়ে পারতাম এবং আর অন্য কিছু করার কোনো প্রয়োজন হতোনা।

কিন্তু, প্রযুক্তির (technology) উন্নয়ন যতটা বেশি হচ্ছে, ততটাই উন্নতি হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন বোট (search engine bots) গুলির।

ফলে, ২০২০ এর এখনের সময়ে, কেবল ব্লগের আর্টিকেলের জাগায় জাগায় সীমাহীন কীওয়ার্ড (keyword) ব্যবহার করেই এসইও (seo) করাটা চলবেনা।

যাকে বলা হয়, “over keyword optimization” বা “keyword stuffing”.

আর্টিকেলে কীওয়ার্ড এর গুরুত্ব এখনো আছে যদিও, আপনি একি কীওয়ার্ড সীমাহীন সংখ্যায় ব্যবহার করলে, গুগল আপনার ব্লগকে কিছুদিন ট্রাফিক দিলেও পরের সময়ে (প্রায় ১ থেকে ২ মাস পর ) penalize অবশই করবে।

যার ফলে, over keyword optimize করা আপনার আর্টিকেল গুলি গুগল সার্চে আর কোনো সময় দেখানো হবেনা।

তাই, এখনের সময়ে অন পেজ এসইও বললে, ব্লগের আর্টিকেলের বিষয়ের সাথে জড়িত keyword গুলি সীমিত পরিমানে এবং জরুরি কিছু জায়গায় স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।

একেই বলা হয় “এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল“.

তাছাড়া, আরো অনেক বিষয় এবং টেকনিক রয়েছে যেগুলিকে “অন পেজ এসইও” র ক্ষেত্রে আপনার অনেক বেশি গুরুত্ব দিতেই হবে।

১.Optimizing content for search intent

অন পেজ SEO optimization মানে হলো, “এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল” তৈরি করা।

ইন্টারনেটে ৯০% আর্টিকেলে আপনার পাবেন যে, on page seo মানে হলো আর্টিকেলের জাগায় গাজায় টার্গেট করা কীওয়ার্ড (targeted keyword) ব্যবহার করে গুগলকে সিগন্যাল দেওয়া।

তবে, আগে এই প্রক্রিয়া অবশই কাজ করতো যদিও এখন আর কাজ করবেনা।

এখন গুগল সার্চ ইঞ্জিন বোট (search engine bots) গুলি অধিক বেশি পরিমানে উন্নত হয়ে গেছে, এবং আপনি কোন বিষয়ে আর্টিকেল লিখেছেন, সেটা অনেক সহজেই বুঝে নিতে পারে।

তাই, ব্লগের আর্টিকেলে কেবল অধিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করলেই কাজ হবেনা।

একটি ইউসার (user) গুগল সার্চের মাধ্যমে কোন বিষয়ে তথ্য জেনেনিতে চাচ্ছেন, সেটার ওপরে আপনার ধ্যান দিতে হবে এবং তদনুসারে (accordingly) আর্টিকেল লিখতে হবে।

তাহলে কি করবেন ? কিভাবে ‘এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল” লিখবেন ?

সবচে আগেই, নিজের ব্লগে লিখা আর্টিকেলের বিষয়ের সাথে জড়িত আলাদা আলাদা keywords, শব্দ, বাক্য এবং সার্চ টার্মস (search terms) আর্টিকেলে ব্যবহার করতে হবে।

মানে, ধরুন আমি একটি আর্টিকেল লিখছি “What is SEO in Bangla” বিষয়টি নিয়ে।

এখন, আমি যদি আর্টিকেলের বিভিন্ন জায়গায় কেবল “What is SEO in Bangla” কীওয়ার্ড বা বাক্যটি বার বার ব্যবহার করে “এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল” তৈরি করার চেষ্টা করছি, তাহলে ২০২০ এ আমাদেড় সবচে বরো ভুল।

কেনকি, এই ধরণের আর্টিকেল গুলিকে গুগল “low quality” এবং “over optimized content” বলে ভেবে নেয়।

ফলে, ভবিষ্যতে গুগল সার্চ থেকে আপনার ব্লগে কোনো রকমের ট্রাফিক বা ভিসিটর্স আসার কোনো রকমের সম্ভাবনা থাকছেনা।

এখন শুনুন আমি কিভাবে আমার লিখা আর্টিকেল গুলিকে SEO র জন্য অপটিমাইজ করি।

যদি আমি “এসইও কাকে বলে” বিষয়টি নিয়ে আর্টিকেল লিখছি তাহলে “এসইও কাকে বলে” কীওয়ার্ডটি বার বার ব্যবহার না করে, আমি আমার মুখ্য কীওয়ার্ড এর সাথে রিলেটেড (related) কিছু শব্দ বা বাক্য আর্টিকেলে ব্যবহার করি।

যেমন, “এসইও কি”, “এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল”, “অন পেজ এসইও কাকে বলে”, “এসইও কিভাবে করতে হয়”, “search engine optimization”, “এসইও টিপস”, “বাংলা এসইও কোর্স” এবং এভাবেই আরো অনেক আলাদা আলাদা কীওয়ার্ড ব্যবহার করি।

এভাবে নিজের ব্লগে লিখা আর্টিকেলে, “focused keyword” এর সাথে জড়িত কিছু “related keywords” গুলি ব্যবহার করলে, আপনার ৩ টি অনেক বড় লাভ হয়ে যায়।

এতে, গুগল সার্চ ইঞ্জিন অনেক সহজে আপনার লিখা আর্টিকেলের বিষয়টি বা টপিকটি বুঝতে পারে।
যেহেতু, আমি আমার আর্টিকেলে SEO নিয়ে বিভিন্ন রিলেটেড কীওয়ার্ড ব্যবহার করেছি, তাই গুগল সার্চে SEO নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আমার আর্টিকেলটি রাংক (rank) করার সুযোগ বেড়ে যাবে।
এসইও র এই নতুন প্রক্রিয়াতে, আমরা একটি কীওয়ার্ড বার বার ব্যবহার করবোনা। তাই, আর্টিকেলে over keyword optimization এর ভয় কখনোই থাকবেনা এবং গুগল আপনার ব্লগ কখনো penalize করবেনা।
২. Improve website loading speed

আপনাদের মধ্যে প্রায় ৮০% ব্লগাররা ওয়েবসাইটের পেজ লোডিং স্পিড (loading speed) নিয়ে কোনো রকমের মাথা বেথা রাখেননা, সেটা আমি ভালো করেই জানি।

কখনোকি আপনি গুগলের সার্চ রেজাল্টের থেকে এমন একটি ওয়েবসাইটের লিংকে ক্লিক করেছেন, যেই ওয়েবসাইট লোড (load) হতে বা খুলতে অনেক সময় নিয়েছে ?

যদি আপনিও আমার মতোই, তাহলে হয়তো আপনিও এরকম স্লো লোডিং ওয়েবসাইটে যাওয়ার সাথে সাথে মোবাইলের back button টি টিপে, অন্য কোনো রেজাল্ট বা ওয়েবসাইট ভিসিট করেন।

এবং, গুগল এটা ভালো করেই জানে যে, একটি স্লো লোডিং ওয়েবসাইট কেও ভালো পায়না।

কারণ, একটি ওয়েবসাইট যখন কেবল খুলতেই অনেক সময় নিয়ে নেয়, তখন সেই পরিস্থিতিটি প্রত্যেকের জন্যই অনেক বিরক্তিকর।

তাই, একটি ওয়েবসাইটের পেজ লোডিং স্পিড (page speed) এখন গুগলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ranking factor হিসেবে ধরা হয়।

তাছাড়া, অন পেজ এসইও র অনেক জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে “page speed” কে ধরা হয়।

তাই, সবচে আগেই নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড চেক করুন।

ব্লগ বা ওয়েবসাইটের পেজ লোডিং স্পিড চেক করার জন্য আপনারা, “Google page speed insights“, “tools.pingdom” এবং “gtmetrix” ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনার ব্লগের লোডিং স্পিড যদি ৩ সেকেন্ড এর থেকে বেশি বেরহয়ে থাকে, তাহলে আপনাকে নিজের ওয়েবসাইটের “পেজ লোডিং স্পিড” নিয়ে কাজ করতে হবে।

কারণ আমি আগেই বলেছি, একটি স্লো ওয়েবসাইট গুগল কখনোই পছন্দ করেনা।

এবং তাই, স্লো লোডিং ওয়েবসাইট হিসেবে, গুগল থেকে ট্রাফিক বা ভিসিটর্স পাওয়ার সুযোগ ৭৫% কমে যাবে।

তাছাড়া, যদিও আপনার কনটেন্ট বা আর্টিকেল, গুগল এর প্রথম সার্চ রেজাল্ট পেজে দেখানো হয়, তাও ওয়েবসাইট খুলতে অনেক সময় লাগার কারণে ৮০% ভিসিটর্স সাথে সাথে বিরক্ত হয়ে, আপনার ওয়েবসাইট ছেড়ে চলে যাবে।

কিভাবে ওয়েবসাইটের পেজ লোডিং স্পিড দ্রুত করবেন ?

আপনি সাথে সাথে নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের পেজ লোডিং স্পিড দ্রুত করে নিতে পারবেন।

তবে, তার জন্য আপনার কিছু speed optimization techniques ব্যবহার অবশই করতে হবে।

ব্লগের আর্টিকেলে ছবি (images) আপলোড করার আগেই, প্রত্যেকটি ছবি compress করেনিতে হবে। এর জন্য আপনারা “compressjpeg.com

” ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করতে পারবেন।
মনে রাখবেন, ব্লগ বা ওয়েবসাইটে আপলোড করা ছবি গুলির সাইজ ৫০kb থেকে বেশি হতে লাগেনা। যতটা সম্ভব ছবির সাইজ কমিয়ে ব্লগে আপলোড করবেন।
একটি ভালো cloud web hosting company থেকে হোস্টিং ব্যবহার করবেন। আপনার ব্লগের হোস্টিং সার্ভার (hosting server) যতটা বেশি ভালো থাকবে, ততটাই দ্রুত ভাবে আপনার ব্লগের পেজ গুলি লোড হবে। ব্লগিং এর ক্ষেত্রে কেবল কিছু সেরা ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি গুলি ব্যবহার করবেন।
একটি CDN (content delivery network) অবশই ব্যবহার করবেন। এই ক্ষেত্রে, cloudflare ব্যবহার করাটা অনেক সুভিধাজনক হবে।
একটি হালকা, পরিষ্কার এবং দ্রুত থিম (theme) ব্যবহার করবেন। যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) ব্যবহার করছেন, তাহলে “wpastra“, “generatepress” বা “genesis framework” থিম গুলি ব্যবহার করতে পারেন। এগুলি ওয়ার্ডপ্রেসের সব থেকে দ্রুত এবং সেরা থিম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
যদি আপনি WordPress ব্যবহার করে ব্লগ তৈরী করেছেন, তাহলে অবশই একটি caching plugin ব্যবহার করবেন।
তাছাড়া, WordPress ব্লগের ক্ষেত্রে একটি optimization plugin যেমন “WP Fastest Cache”, “WP Rocket”, “WP Super Cache”, “W3 Total Cache” বা “WP-Optimize” যেকোনো একটি অবশই ব্যবহার করুন।
তাহলে বন্ধুরা, এভাবেই আপনারা কিছু ছোট ছোট টেকনিক ব্যবহার করে, নিজের ওয়েবসাইটের পেজ লোডিং স্পিড ফাস্ট ও দ্রুত করে, ব্লগের অন পেজ এসইও আরো ভালো করে নিতে পারবেন।

৩. আর্টিকেলে টার্গেট করা focused keyword এর ব্যবহার

আমি বলেছি যে, আর্টিকেলে টার্গেট করা কীওয়ার্ড (focused keyword) বার বার ব্যবহার করাটা অনেক খারাপ।

তবে, আর্টিকেলের কিছু কিছু জায়গায় টার্গেট করা কীওয়ার্ড গুলি স্বাভাবিকভাবে (naturally) ব্যবহার করাটা কিন্তু অনেক লাভজনক।

সবচে আগেই আর্টিকেলের টাইটেলে (title) ব্যবহার করতে হবে।
তারপর, আর্টিকেলের Permalink url এ কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করতে হবে।
এবার, আর্টিকেলের প্রথম প্যারাগ্রাফে (paragraph) আপনার লক্ষ্যবস্ত কীওয়ার্ড বা বাক্যটি এক থেকে দুবার লিখতে হবে।
এবং এর পর, আর্টিকেলে ব্যবহার করা H2, H3 এবং H4 TAG গুলির মধ্যে এক থেকে দুবার লক্ষ্যবস্ত কীওয়ার্ড এর ব্যবহার করাটা জরুরি।
এভাবে, আপনার আর্টিকেলের কিছু বিশেষ জায়গায় focused keywords গুলি ব্যবহার করে, গুগল সার্চ ইঞ্জিনকে অনেক সহজে নিজের কন্টেন্টের বিষয়টি বুঝিয়ে দিতে পারবেন।

এবং ফলে, আপনার কনটেন্ট গুলি অনেক ভালো ভাবে search engine এর জন্য optimize হয়ে যাবে।

৪. Use alt tags for images

আমরা ব্লগে বা ব্লগের আর্টিকেলে যে ছবি (images) আপলোড করি সেগুলির ব্যাপারে গুগল নিজে নিজে বুঝতে পারেনা।

তাই, আমাদের আর্টিকেলে ব্যবহার করা ছবিগুলির বিষয়ে গুগলকে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য আমরা “alt tag” ব্যবহার করতে পারি।

এতে সহজেই গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলি বুঝতে পারে যে, ছবিটি কিসের বিষয়ের এবং ফলে google image search থেকেও ট্রাফিক পাওয়ার সুযোগ বেড়ে যায়।

অন পেজ এসইও অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে, ছবিতে alt tag এর ব্যবহার করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

এবং, আমরা এই image alt tag/text গুলির জায়গায় নিজের targeted focused keyword গুলি ব্যবহার করে, কনটেন্টটি অধিক ভালো করে SEO optimize করতে পারি।

৫. Simple & readable content

মনে রাখবেন, আপনার ব্লগে লিখা কনটেন্ট এবং আর্টিকেলের কোয়ালিটি কিন্তু সেরা মানের হতে হবে।

আজ, ইন্টারনেটে যেকোনো বিষয়ে হাজার হাজার কনটেন্ট বা তথ্য রয়েছে।

তাই, আপনার লেখা আর্টিকেল গুলি যদি পড়তে বা বুঝতে কঠিন হয়, তাহলে ব্লগে আশা ভিসিটর্স রা কেবল কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই ফিরে যাবে।

ফলে, high bounce rate এর কুপ্রভাব আপনার ব্লগের ওপরে পড়বে।

এবং, এটা SEO র ক্ষেত্রে কিন্তু অনেক খারাপ।

তাই, নিজের ব্লগে লিখা কনটেন্ট গুলি সহজ এবং সরল ভাবে লিখবেন যাতে জেকেও অনেক সহজে পড়তে পারেন।

তাছাড়া, আর্টিকেলটি ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ করে লিখবেন।

এতে, ভিসিটর্স দেড় লেখা গুলি পড়তে অনেক সুবিধে হবে।

আপনার আর্টিকেল গুলিতে কাজের এবং বিষয়ের সাথে জড়িত সম্পূর্ণ তথ্য দিবেন।

যতটা বেশি সময় আপনার ভিসিটর্স গুলি আপনার লেখা আর্টিকেল পড়বেন, ততটাই high bounce rate এর পরিমান কমে আসবে এবং গুগল সার্চ ইঞ্জিনে আপনার আর্টিকেলের রাংকিং (ranking) ভালো হতে থাকবে।

তাই, ব্লগে সব সময় এভাবে আর্টিকেল লিখবেন যাতে, ভিসিটর্স বা রিডার্স রা আপনার কনটেন্ট পড়ে অনেক রুচি পান এবং আপনার লেখা গুলি পড়তে তাদের কোনো অসুবিধে না হয়।

৬. Use internal linking technique

আপনি হয়তো আমার প্রত্যেক আর্টিকেলে কিছু লিংক (links) অবশই দেখেছেন।

হে, এই আর্টিকেলেও রয়েছে।

এভাবে, নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখার সময়, আপনার আর্টিকেলের বিষয় বা কীওয়ার্ড এর সাথে জড়িত অন্যান্য আর্টিকেলের লিংক (link) দিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে বলা হয় “internal linking of articles“.

এবং ব্লগের আর্টিকেলে এই ধরণের লিংক গুলিকে বলা হয় “ইন্টারনাল লিংক” (internal links).

উদাহরণ স্বরূপে,

আমি যদি “blogging” নিয়ে আর্টিকেল লিখছি, তাহলে সেই আর্টিকেলেই blogging নিয়ে লেখা আমার অন্যান্য আর্টিকেলের লিংক অবশই দিয়ে দিতে পারবো।

এতে, আপনার ব্লগে আশা ভিসিটর্সরা যেকোনো বিশেষ বিষয়ে অনেক রকমের জ্ঞান নিয়ে নিতে পারবেন এবং আপনার ব্লগের “bounce rate” কমে যাবে।

SEO র ক্ষেত্রে এভাবে আর্টিকেলের ইন্টারলিংকিং করাটা অনেক লাভজনক।

এতে, আপনার ব্লগের ভেতরে থাকা আর্টিকেল পেজ গুলির মধ্যে SEO link juice pass হতে থাকে এবং internal backlinks তৈরি হয়।

অন পেজ এসইও র এই টেকনিক অনেক বেশি জরুরি, যদি আপনি গুগলে নিজের আর্টিকেল পেজ গুলি ভালো ভাবে রাংক করতে চাচ্ছেন।

তাহলে বুঝলেনতো, “ইন্টারনাল লিংক কি” এবং কিভাবে করবেন।

৭. Regularly post articles

নিজের ব্লগে আপনি মাসে কতটা করে আর্টিকেল পাবলিশ করছেন, সেটাও কিন্তু আপনার ধ্যান রাখতে হবে।

Google সেই ব্লগ গুলিকে অনেক পছন্দ করে যেগুলিতে রেগুলার ভালো ভালো high quality articles পাবলিশ করা হয়।

তাই, চেষ্টা রাখবেন যাতে আপনি আপনার ব্লগে সপ্তায় কমেও ৩ টি করে ভালো ভালো আর্টিকেল পাবলিশ করছেন।

তাছাড়া, যেগুলি ব্লগে রেগুলার (regular) আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়না, ধরুন মাসে কেবল ২ থেকে ৩ টি আর্টিকেল, সেই ব্লগ গুলি গুগলের নজরে low quality র।

এবং, এই ধরণের অনেক কম আপডেট করা ব্লগ গুলিকে গুগল তার SERP এ ভালো ভাবে রাংক করেনা।

তো, আপনি যদি Google Search Engine থেকে ভালো পরিমানে ট্রাফিক বা ভিসিটর্স পেয়ে যেতে চাচ্ছেন, তাহলে নিজের ব্লগ গুলিতে রেগুলার নতুন নতুন কনটেন্ট পাবলিশ করতেই হবে।

অন পেজ এসইও র ক্ষেত্রে, এবেপারে নজর দেওয়াটা অনেক জরুরি।

তাহলে বন্ধুরা, আজকে আমরা শিখলাম যে, “অন পেজ এসইও কি” (on page seo bangla), “অন পেজ এসইও কিভাবে করতে হয়” এবং এসইও নিয়ে আরো অনেক ধরণের কথা।

মনে রাখবেন, on page seo করার উদ্দেশ্য একটাই, নিজের ব্লগের আর্টিকেল গুলিকে গুগল (Google) বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলির জন্য ভালো করে অপটিমাইজ করা।

এবং যার ফলে, গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে অধিক পরিমানে ট্রাফিক বা ভিসিটর্স পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তাই, যদি আপনি একজন ব্লগার হন, তাহলে এই বিষয়টি নিয়ে অবশই ধ্যান দিবেন।

নাহলে, গুগল থেকে traffic পাওয়াটা কিন্তু আপনার জন্য অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

অফ পেইজ অপটিমাইজেশন-Off Page SEO

অফ পেইজ অপটিমাইজেশন কে আমরা লিংক বিল্ডিং বলতে পারি। অর্থাত্ সার্চ ইঞ্জিনের প্রথমে কোনো ওয়েব সাইটকে আনার জন্য ঐ ওয়েব সাইটের সাথে সম্পর্কিত অন্য ওয়েব সাইটের লিংক বা সংযুক্ত করাকে বলা হয় লিংক বিল্ডিং আর লিংক বিল্ডিং করার পূর্ণ প্রক্রিয়া হল অফ পেইজ অপটিমাইজেশন। এক কথায় বলা যায় অফ পেইজ অপটিমাইজেশন হল কোন ওয়েব সাইটের সেই সাইট সম্পর্কিত অন্য ওয়েব সাইটে তার প্রচার করা।

অফ পেইজ অফটিমাইজেশন কেন প্রয়োজন?

যে কোন ওয়েব সাইটের জন্য অন পেজ এর পাশাপাশি অফ পেইজ অপটিমাইজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কোন ওয়েব সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথমে নিয়ে আসার জন্য প্রথম অফ পেইজ অপটিমাইজেশন এর দরকার হয়। আপনি যদি কোন সাইটের মালিক হন তখন আপনার উদ্দেশ্য থাকে আপনার পণ্য অথবা সেবা এই সাইটের মাধ্যমে অন্যকে ওয়েব সাইটি থাকলে আপনার সাইটের ট্রাফিক বেশি হবে। এতে আপনার পণ্য অথবা সেবা এর প্রচার ও বেশি হবে। তাই এ কথা আমার বলতেই পারি আপনার সাইটের তৈরি করার যে উদ্দেশ্য যে উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য অফ পেইজ অপটিমাইজেশন খুবই প্রয়োজন।

অফ পেইজ অপটিমাইজেশন এর সুবিধা

অফ পেইজ অপটিমাইজেশন এর সুবিধা সমূহ অনেক। একটি ওয়েব সাইট যে উদ্দেশ্য তৈরি করা হয় বলা যায় সেই উদ্দেশ্য পূরণের রাস্তা হল অফ পেইজ অপটিমাইজেশন নিচে এর সুবিধা সমূহ লক্ষ করুন।

১। অফ পেইজ অপটিমাইজেশন করে যে কোন ওয়েব সাইটের পেইজ রাংক বাড়ানো যায়।

২। কোন সাইটের ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য অফ পেইজ অপটিমাইজেশন অপরিহার্য।

৩। অফ পেইজ বলতে লিংক বিল্ডিং কে বোঝায় তাই একটি সাইটের সাথে অন্য সাইটের লিংক করতে অফ পেইজ অপটিমাইজেশন দরকার হয়।

৪) কোন সাইটের প্রচারের জন্য অফ পেইজ অপটিমাইজেশন অপরিহার্য।

৫) অনলাইনের মাধ্যমে প্রচার করার জন্য অফ পেইজ অফটিমাইজেশন দরকার হয় আর অনলাইনের মাধ্যমে প্রচার করা হলে আর্থিক ব্যায় অনেক কম হয়। অর্থাত অফ পেইজ অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে আপনি খুব কম খরচে আপনার পণ্য অথবা সেবা এর খবর খুব সহজেই প্রচার করতে পারেন। ফলে অনলাইনে আপনার পণ্য অথবা সেবা এর প্রচার করে সহজেই অনেক লাভবান হতে পারেন।

অফ পেইজ কীভাবে কাজ করে

অফ পেইজ এস ই ও কাজ করার জন্য দরকার হয় কোন ওয়েব সাইটের নির্দিষ্ট একটি নেটওয়ার্ক যেটা তৈরি হয় অন্য ওয়েব সাইটের সাথে লিংক বা যুক্ত হয়ে থাকে আমরা বলি লিংক বিল্ডিং এর দরকার হয় দুটি সম্পর্কিত ওয়েব সাইটের মধ্যে সম্পর্ক যেটা কিনা আকটিভ অবস্থায় আছে অথবা যেটা সরাসরি ওয়েব মাস্টার কর্তৃক অথবা আলাদা ভাবে ওয়েবসাইট কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। এ ধরনের একটি নেটওয়ার্ক বা লিংক বিল্ডিং অফ পেইজ অপটিমাজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অফ পেইজ অফটিমাইজেশন এর জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়

১) লিংক বিল্ডিং করার পদ্ধতি সমূহ জানা

২) ওয়েব ব্রাউজিং জানা

৩) একটি কম্পিউটার

৪) এম এস ওয়ার্ড সম্পর্কে ভাল ধারণা।

৫) ইন্টারনেট লাইন।

উপরোক্ত বিষয় ছাড়া আরও কয়েকটি বিষয় সম্বন্ধে জানা প্রয়োজন। যেমন

গুগল পাণ্ডার বর্ণনা Google Panda

লিংক বিল্ডিং করার জন্য গুগল পাণ্ডা এর সম্পর্কে জানা খুবই দরকার। গুগল হল সারা বিশ্বে ব্যবহৃত সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন। তাই যে কোন ওয়েব সাইট যদি এই সার্চ ইঞ্জিনের প্রথমে আসে তাহলে সেই সাইটের ট্রাফিক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই গুগল সম্পর্কে জানা দরকার। গুগল পাণ্ডা এক ধরনের এলগরিদম। এটি Google Penguine এর আপডেট।

গুগল পাণ্ডা এর বিশেষত্ব হল গুগল পাণ্ডা যা কিছু আছে সেই সাইটের সেবা বা পণ্য ও যেন সেটাই হয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ বক্সে ফ্রি ডাউনলোড Kaspersky antivirus লিখে সার্চ দেন তাহলে এ সম্পর্কিত অনেকগুলো ওয়েব সাইট আসবে।

কিছু কিছু সাইটে ফ্রি ডাউনলোড Kaspersky antivirus থাকা সত্ত্বেও সেখানে ক্লিক করা সতেও এখানে রেজিট্রেশন করাতে হবে যা কিনা ডলার অথবা টাকা দিয়ে করতে হবে। অতএব লক্ষ্য করুন ফ্রি ডাউনলোড লেখা থাকলেও এখানে আপনাকে করতে হচ্ছে যা কীওয়ার্ড বা কনটেন্ট এর সাথে সম্পর্কিত নয়। গুগল পাণ্ডা এ সকল বিষয় সাপোর্ট করে না। আর অফ পেইজ বা লিংক বিল্ডিং এর সাথে গুগল পাণ্ডা এর সম্পর্ক হল আপনি যখন একটি বিষয় সাইটের সাথে অন্য সাইটের লিংক করবেন তখন দু’টি সাইট যেন একই কেটাগরি বা বিষয়বস্তু সম্পর্কিত হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ